গড়পঞ্চকোটের গল্প
কাটিলা মহেন্দ্ৰ মৰ্ত্ত্যে বজ্র প্রহরণে
পৰ্ব্বতকুলের পাখা ; কিন্তু হীনগতি
সে জন্য নহ হে তুমি, জানি আমি মনে,
পঞ্চকোট !
একদিকে পাঞ্ছেত পাহাড় আর অন্যদিকে রাজবাড়ির ভগ্নাবশেষ, এরই মধ্যে ঘন বনজঙ্গলে অপরুপ প্রাকৃতিক শোভার মধ্যে কাটানো মনোরম ৩ দিনের চিত্র কথা।
কীভাবে যাবেনঃ কী ভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসে চড়ে বসুন। আসানসোলে নেমে অন্য লোকাল ট্রেন ধরে চতুর্থ স্টেশন হল মুড়াডি। সেখানে থেকে ট্রেকার বা রিকশায় বড়ন্তি। আসানসোল থেকে সোজা গাড়িও নিয়ে নিতে পারেন। গাড়িভাড়া পড়বে ৬৫০ টাকা। আর কলকাতা থেকে টানা গাড়িতে গেলে ঘন্টা ছ’য়েক লাগবে। দূরত্ব ২৭১ কিমি। আসানসোল থেকে নিয়ামতপুর পেরিয়ে বাঁহাতি পথে দিশেরগড় ব্রিজের রাস্তা ধরুন।
কোথায় থাকবেন: থাকার জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো। এখানে এসি ঘরও পাবেন। এ ছাড়া আছে কটেজ। ভাড়া একটু বেশি হলেও থাকার আয়োজন বেশ ভালো। যোগাযোগ করুন: পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম, কেবি-১৯, সেক্টর-৩, সল্ট লেক, কলকাতা-৯৮ (ফোন: ০৩৩-২৩৩৫০০৬৪/033-23350064)। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের সাইটে গিয়েও বুকিং করা যায়। দেখতে পারেন: http://www.wbfdc.com
Chayapoth
Hello here is our cover video of Chayapoth presented by Eye Through Lens,
Directed By Jit Chattyopadhay,
a cover song by Kaustav Chakraborty (https://www.facebook.com/kaustavofficial/) Cinematography & Edit by Jit Chattyopadhay and Basudeb.
Stay some more minutes to listen his song 🙂
If you like his music pls Subscribe Kaustav’s channel 👇
Here is his song –
https://youtu.be/NcwTk92w7MU
Monotone
ALKINARE – Music Video
– : চা বাগানের মিশ্র ভাষার ঝুমুর : –
চা বাগান, কয়লাখনি অঞ্চলে প্রভৃতি কর্মস্থলে বিভিন্ন জাতির মানুষের সমাবেশ হয় বলে অর্থাৎ শ্রমিক বৃন্দের মধ্যে একটা মিশ্র ভাষা যুক্ত ঝুমুর গানের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় | সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, যেকোন প্রকার ঝুমুর গানই হোকনা কেন, তার মধ্যে কখনও অনড় নিয়ম থাকতে পারে না. দেখা গেছে, একটি বিশেষ ঝুমুর গান যার অঞ্চল, জাতি বা সম্প্রদায় ভেদে ভিন্নরূপ গ্রহন করেছে. কোথাও দেখা যায় সাহিত্যের, কোথাও দেখা যায় সুরের ভঙ্গির এবং উচ্চারনের পরিবর্তন ঘটেছে. যাইহোক, রাঢ় বাংলার অন্যান্য গানের ধারাগুলির মধ্যে ঝুমুর গান বিশেষ ভঙ্গি, সাহিত্য, সুরবৈচিত্র্য, যন্ত্রানুসঙ্গ এবং নৃত্যের প্রয়োগে আপন মহিমায় জনপ্রিয়তার সঙ্গে প্রচলিত চা বাগান, কয়লাখনি অঞ্চলে প্রভৃতি কর্মস্থলে বিভিন্ন জাতির মানুষের সমাবেশ হয় বলে অর্থাৎ শ্রমিক বৃন্দের মধ্যে একটা মিশ্র ভাষা যুক্ত ঝুমুর গানের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় | সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, যেকোন প্রকার ঝুমুর গানই হোকনা কেন, তার মধ্যে কখনও অনড় নিয়ম থাকতে পারে না. দেখা গেছে, একটি বিশেষ ঝুমুর গান যার অঞ্চল, জাতি বা সম্প্রদায় ভেদে ভিন্নরূপ গ্রহন করেছে. কোথাও দেখা যায় সাহিত্যের, কোথাও দেখা যায় সুরের ভঙ্গির এবং উচ্চারনের পরিবর্তন ঘটেছে. যাইহোক, রাঢ় বাংলার অন্যান্য গানের ধারাগুলির মধ্যে ঝুমুর গান বিশেষ ভঙ্গি, সাহিত্য, সুরবৈচিত্র্য, যন্ত্রানুসঙ্গ এবং নৃত্যের প্রয়োগে আপন মহিমায় জনপ্রিয়তার সঙ্গে প্রচলিত হয়ে চলেছে.
লেখক: সোমা দাস
Song – ALKINARE
SINGER – Chaudhuri Bipasha Chaudhuri
MUSIC DESIGN & DIRECTION – Abhishek banerjee
SOUND RECORDIST – Rupnarayan Bhattacharya
MUSICIANS – Arabinda Pradhan , Vicky Dutta Banik, Debdas Das , Jayanta Chatterjee
STUDIO – Studio Inframe
PAINTER – Abak Saha
VIDEO TECHNICAL ASST. – Arnab Dey(Rahul Dey), Roger Gomes
MAKEUP ARTIST – Prosenjit Patraa
DIRECTOR OF PHOTOGRAPHY – Basudeb Mondal
CONCEPT – Ankur Mukherjee
EDIT & COLOR – Avyc Dutta
DIRECTION – Debanjan Dey
PRODUCTION – Abstract Frames
SPECIAL THANKS – Pubali Chakraborty
M I T H A I
পুতুল নাচের ইতিকথা
গল্প, কবিতা, নাটক, অভিনয়, গান, নৃত্যকলা, ভাস্কর্য, এবং অন্যান্য দৃশ্যমান আর্টের সার্থক মিলন ঘটেছে পুতুলনাচে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পুতুলনাচ একটি পুরাতন শিল্পকলা হিসেবে গণ্য করা হয়। এদের হাত ধরেই পুতুল নাচ উন্নত বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তারা পুতুল নাচের মাধ্যমে পৌরাণিক ও রূপকথার কাহিনী তুলে ধরত। আস্তে আস্তে তা ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যযুগের ইটালিতে ‘পুলসিনেলো’ নামে আবির্ভাব ঘটে সুতা পাপেটের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পুতুলনাচ একটি পুরাতন শিল্পকলা হিসেবে পরিচিত। ইউরোপে পুতুলনাচের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধারক জার্মানি। মধ্যযুগে ইটালিতে ‘পুলসিনেলো’ নামে আবির্ভাব ঘটে সুতা পাপেটের, ফ্রান্সে যার নতুন নাম হয় ‘পলসিনেল’। দস্তানা পাপেটের জনপ্রিয় চরিত্র হিসেবে জন্ম নেয় ‘পাঞ্চ’। এই পাঞ্চ চরিত্রের প্রতিরূপ দৃষ্ট হয় রাশিয়া, জাপান ও ব্রাজিলে। জার্মানি ও সুইডেনে পাঞ্চের নাম ‘কাসপার’, হল্যান্ডে ‘ইয়ান ক্লাসেন’ এবং হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ায় ‘ভাসিলচে’। এছাড়াও মিশর, চীন, কোরিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং শ্রীলঙ্কায় পুরানো ও আধুনিক ধারার পুতুলনাচের অস্তিত্ব বিদ্যমান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটার, পিপলস থিয়েটার, ডলস থিয়েটার এবং বর্ধমান পাপেট থিয়েটার আধুনিক ধারায় পুতুলনাচের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা সুতোয় টানা পুতুলের জন্য জনপ্রিয়। বগুলা, মুড়াগাছা, বড়বড়িয়া কলোনি- নদীয়ার এই তিনটি অঞ্চল মিলিয়ে আজ প্রায় ৭০-৮০টি দল আছে। সুতোয় টানা পুতুলের আকার খুব বড়ও নয় আবার ছোটো নয়, মাঝামাঝি, এগুলির দেহ তৈরি হয় শোলা ও মাথা তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। এরা হাত মুড়তে পারে এবং মানুষের মতো কোমর দুলিয়ে নাচতেও পারে পরনের কাপড় এমনভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যে পা নেই বোঝা যায়না। সব সুতো একটি কাঠিতে বাঁধা থাকে এবং শিল্পী প্রয়োজন অনুযায়ী এক বা দু হাত ব্যবহার করে এদের নাচান। মঞ্চ হয় তৈমাত্রিক। পর্দার পিছন থেকে শিল্পীরা দাঁড়িয়ে পর্দার সামনে থাকা পুতুলটিকে নাচান। মঞ্চটি ৫-৭ ফুট লম্বা, ৪-৬ ফুট উঁচু এবং ৩ ফুট গভীর। এই নাচে প্রধানত ভক্তিমূলক বা পৌরাণিক কাহিনীই ব্যবহৃত হয়। যেমন- ‘লালন ফকির’, ‘ভক্ত প্রহ্লাদ’, ‘সোনাই মাধব’ ইত্যাদি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণদিকের জয়নগর, মজিলপুর, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা ইত্যাদি অঞ্চলে দণ্ড পুতুল পাওয়া যায়। এছাড়া বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের দু-একটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে এই পুতুলনাচ দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গে এগুলি ‘ডাঙ্গের পুতুল’ নামেই পরিচিত। পুতুলগুলি তৈরি হয় কাঠ দিয়ে। যেকোনো ধরনের হালকা কাঠ দিয়ে এই পুতুল তৈরি হয়। এদের মুখমণ্ডল খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয়। পুতুলগুলি ২-৩ ফুট লম্বা। মাথাটি গজাল দিয়ে গলার সাথে আটকানো থাকে। ফলে মাথা যেদিকে ইচ্ছে ঘোরানো যায়। সুতোয় টানা পুতুলের কাহিনীগুলি এরও কাহিনী। গ্রামাঞ্চলে পৌরাণিক পালারই বেশি কদর। এই পালাগুলিতে চিতপুরের যাত্রাপালার প্রভাবও পড়েছে। মঞ্চের আকৃতি এক্ষেত্রেও ত্রিমাত্রিক। মঞ্চের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ফুট, উচ্চতা কমপক্ষে ১২ ফুট, গভীরতা ১০ ফুট।
সুত্র- http://reema141047.blogspot.co.ke/